
লেজকাটা শেয়ালের মতবাদ
পশ্চিমে যেই মতবাদ গুলো কয়েক দশক আগে পচে গেছে, আমাদের মতো কম উন্নত দেশগুলো এখন সেগুলো আমদানি করতেছে।
তার মধ্যে অন্যতম হলো ফেমিনিজম।
পশ্চিমারা অনেক আগে থেকেই ফেমিনিজম নিয়ে সচেতন হয়ে গেছে। ফেমিনিজম এর বিরুদ্ধে প্রচুর এক্টিভিটি চলতেছে পশ্চিমা দেশগুলোতে। তাদের বুদ্ধিজীবীরা, সমাজবিজ্ঞানীরা ফেমিনিজমের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছেন। এমন কি সরকারি ভাবেও ফেমিনিজম এর বিরুদ্ধে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। যেমন, কয়েকদিন আগে ট্রাম্প ঘোষণা দিলো, ছয় সন্তানের মাকে পদক দিয়ে স্বীকৃতি দেয়া হবে।
তারা এখন বুঝতে পেরেছে, কিভাবে ফেমিনিজম পরিবার, জাতি কে ধ্বংস করছে।
পশ্চিমা দেশগুলোতে জন্মহার নেগেটিভ। এমনকি এখন তাদের তরুণদের সংখ্যাও অনেক কম।আর একটা জাতি কে টিকিয়ে রাখার জন্য তরুণপ্রজন্ম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের জাতির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।তাদের স্টেবল অর্থনীতি থেকেও তারা এই পৃথিবীতে তাদের জাতিকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না যদি তাদের মেয়েরা বিয়ে, সন্তান গ্রহণ এই কাজগুলো কে এখনো ছোটভাবে দেখে।
পশ্চিমারা ফেমিনিজমের বিষাক্ততা বুঝতে পেরেছে, এই বিষাক্ত মতবাদের কবল থেকে নিজের জাতিদের বাঁচাতে চাচ্ছে।
কিন্তু সব সময়ের মতো, লেজ কাটা শিয়াল হয়ে পশ্চিমারা আমাদেরকে বুঝাচ্ছে, লেজ কাটলে কত সুন্দর লাগে।
পশ্চিমা মোড়ল দেশ গুলো বিভিন্ন ফান্ডিং এর মাধ্যমে, কূটকৌশলের মাধ্যমে অনুন্নত দেশ গুলোতে ফেমিনিজমকে প্রতিষ্ঠা করছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থা, মিডিয়াকে তারা মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ফেমিনিজমের বিষ প্রতিটি পরিবার, সমাজে ঢেলে দেয়ার জন্য।
আর আমাদের মতো অনুন্নত দেশের শিক্ষিত মেয়েরা বরাবরের মতো নিজেকে “জাতে উঠানোর জন্য” খুব সুন্দরভাবে ফেমিনিজমের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।
একটা পুরো ক্লাস মিলে এখন একটা মেয়ে খুঁজে পাওয়া যায় না যে একজন আদর্শ মা হতে চায়, আদর্শ স্ত্রী হতে চায়।
বাঙালি মেয়েরাও এখন বিয়ে, স্বামীর সংসার, সন্তান প্রতিপালনকে পিছিয়ে পড়া কাজ মনে করে।
তারা এখন চায়, বিয়ে না করে কলেজ-ভার্সিটি শেষ করবে, পিএইচডি করবে, নিজের ক্যারিয়ার গঠন করবে।
আর একজন সঙ্গীর চাহিদা যেহেতু প্রাকৃতিক চাহিদা তাই এটাকে পুরোপুরি এভয়েড না করতে পারলে বয়ফ্রেন্ড, জাস্টফ্রেন্ডকে দিয়ে কাজ সেরে নিবে।
এই অবস্থায় গর্ভবতী হলেও তাদের সমস্যা নেই, কারণ ফেমিনিজম এর একটা গুরুত্বপূর্ণ অধিকার হলো গর্ভপাত। নারীরা যখন ইচ্ছা গর্ভপাত করতে সক্ষম!
পড়াশোনা শেষ করতে করতে এরকম এক দুইটা কাহিনী হতেই পারে, এগুলো নিয়ে এতো বেশি সিরিয়াস না হলেও চলবে। শুধু ক্যারিয়ারকে নিয়ে সিরিয়াস থাকতে হবে অলওয়েজ।
তারপর পড়াশোনা শেষে একটা চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই বিয়ে করা যাবে না। আগে চাকরি, তারপর বিয়ে।ভালো চাকরি পেতে পেতে বয়স যখন ৩০-৩৫ তখন তো আর বিয়ে না করে উপায় নেই, তবে বিয়ে হলে হবে কোনোভাবেই এতো তাড়াতাড়ি বাচ্চা নেয়া যাবে না। তাহলেই ক্যারিয়ারের বারোটা। একটা সময় পর বাচ্চা নেয়াই যায় তবে “দুইটির বেশি নয়, একটা হলে ভালো হয়”।
যেই ফেমিনিজমকে প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের পরিবার, সমাজব্যবস্থাকে শেষ করে নিজের জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে সেই ফেমিনিজম এখন আমাদের ঘরে। আমরা যদি এখন থেকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার না হই তাহলে আমাদের জাতিকেও এর চড়া মূল্য দিতে হবে।


