মিথ্যার বেড়াজালে নারী

নারীদের সাথে সবসময়ই মিথ্যা বলা হয়েছে। অনেক আগে থেকেই প্রতিনিয়ত এটা হয়ে আসছে। একদল স্বার্থান্বেষী মানুষ নিজেদের সুবিধার জন্য নারীদের রীতিমতো প্রতারণা করে আসছে। যাচ্ছেতাইভাবে ব্যবহার করে আসছে!

ভাবছেন আমি পুরুষতন্ত্রের কথা বলছি? একদম না!

আমি বলছি পশ্চিমা নাস্তিক্যবাদী সমাজের কথা। ঈশ্বরকে অবিশ্বাসী, নাক উঁচু উদ্ধত জনগোষ্ঠীর কথা। এরা নিজেদের জঘন্যতম এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নের জন্য নারীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বছরের পর বছর এভাবেই তারা নারীদের ঠকিয়ে আসছে।

তাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, তাদের মনভুলানো মিষ্টি কথাগুলোকে জোরালোভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে মিডিয়ার সব জায়গায় – হলিউডে, বলিউডে, বিখ্যাত টিভি শো, নাটক, সিনেমা, উপন্যাস ও ম্যাগাজিনে। ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে Ivy league সহ দেশ বিদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে৷

সেই প্রায় ৬০ এর দশক থেকে শুরু হয়েছে এই মিথ্যার জাল বোনা। কী সেই মিথ্যা যা দিয়ে নারীদের ভুলিয়ে রাখা হয়েছে?

নারীদের বলা হচ্ছে: “তুমি যা চাও তাই হতে পারবে। তুমি যেভাবে চাও সেভাবেই হবে। You can have it all!

নারী, তুমি স্বাধীনভাবে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে চলতে পারবে। আমাদের কথা শোনো আর স্বাধীনভাবে ডানা মেলে দাও আকাশে। দেখবে, জীবনের সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে!”

আমেরিকান টেলিভিশনের একটা অন্যতম বিখ্যাত শো এর নাম Sex and the City, যা প্রায় ৬টা সিরিজব্যাপী চলেছিল। সিরিজটার কেন্দ্র ছিল মডার্ণ বা আধুনিক নারীদের স্বাধীন লাগামছাড়া জীবনযাপন৷ এর প্রতিপাদ্য ছিল যে, একজন আধুনিক নারী সবসময় স্বাধীন ও সফল। সে সবসময় কম বয়সী আকর্ষণীয় মেয়েদের মতো আমোদ-ফুর্তি করবে। বড় শহরে থেকে সে নিজেই সুন্দরমতো চাকরি করবে। অফিস শেষে বন্ধু বান্ধবদের সাথে মৌজ মাস্তি করবে, শারীরিক প্রয়োজন ইচ্ছামত বিভিন্ন পুরুষের সাথে মিটাবে৷ নারীদের তাই কোনো প্রয়োজন নেই বিয়ে করার। স্বামীর সংসার করা এরপর আবার বাচ্চাকাচ্চা বড় করা! কে করতে যায় এগুলো? একজন আধুনিক স্বাধীন নারীর এসব সাজে না।

এই বিখ্যাত টেলিভিশন সিরিজ আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে তুমুলভাবে ছড়িয়ে যায়। এই ছলনাময় প্রতিপাদ্য বীজ বপন করে নারীদের মনে। কিন্তু তার প্রায় কয়েক দশক পর ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা।

এই সিরিজের মূল উপন্যাসের লেখিকা ক্যান্ডেস বুশনেল ৬০ বছর বয়সে Sunday Times Magazine কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ডিভোর্স এর ব্যাপারে বলেন৷ তিনি স্বীকার করেন যে, সংসারী হয়ে পরিবার গড়ে না তুলে তিনি মস্ত বড় ভুল করেছেন। এই ভুলের জন্য তিনি এখন হয়ে পড়েছেন সত্যিকারের একজন একা মানুষ।

সাক্ষাৎকারে ক্যান্ডেস বলেন:

“যখন আমার বয়স ৩০-৪০ ছিল আমি ঘর সংসার সন্তান-সন্ততি নিয়ে চিন্তা করিনি। এরপর ৫০ এ এসে যখন আমার ডিভোর্স হয়ে যায় তখন আমি সন্তানহীন থাকার মূল্য হাড়েমজ্জায় টের পাই। নিজেকে সত্যি খুব একা লাগতে থাকে। আমি এখন বুঝতে পারি, যাদের সন্তান আছে তাদের জীবনে অন্যরকম পরিপূর্ণতা আছে। যাদের সন্তান নেই তারা সেটা কখনো বুঝবেনা৷”

এখন তাহলে ক্যান্ডেসের উপন্যাসের আলোকে নির্মিত সিরিজ দেখে যে সমস্ত নারী বিপথে গেল তাদের কী হবে? এই মস্ত বড় এক ভুলের অনুসরণ করে তারা ডুবে গেছে কর্পোরেট ভোগবাদের গোলকধাঁধায়৷ এতদিন পরে লেখিকার এই আক্ষেপ কি তাদের জীবনকে ঠিক করে দিবে? এই নারীরা কি পারবে আবার তাদের যৌবনে ফিরে গিয়ে সঠিক সময়ে বিয়ে করে সংসার শুরু করতে? উপযুক্ত সময়ে সন্তান-সন্ততির মা হতে? উত্তর হলো – কখোনোই না!

একটা বইয়ের কথা বলি, Subverted : How I Helped the Sexual Revolution Hijack the Women’s Movement. বইটির লেখিকা স্যু এলেন ব্রাউডার দীর্ঘদিন Cosmopolitan Magazine এর একজন ফ্রিল্যান্সার লেখিকা হিসেবে কাজ করেছেন। এই ম্যাগাজিন পশ্চিমা নারীদের কাছে যেন তাদের বাইবেলের মতো।

ম্যাগাজিনে কাজ করা অবস্থায় নিজের ছলনাময়ী লেখায় সে নারীর স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত করেছে বিয়েবহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ আর স্বেচ্ছায় গর্ভপাতকে নারী স্বাধীনতার রক্ষাকবচ হিসেবে প্রচার করেছে। এভাবে সে মিথ্যা কথার জালে নারীদের মাঝে বিষ ছড়িয়ে দিয়েছে। তবে একদিন সে ঠিক বুঝতে পেরেছে যে, আসলে তার চেয়েও বড় মিথ্যুক পন্ডিতেরা তাকেই কিনা বেকুব বানিয়েছে। স্বার্থ হাসিলের জন্য তাকে খেলার পুতুলের মতোই নাচিয়েছে। তার চিন্তা ভাবনাকে এই মিথ্যুকরা নিয়ন্ত্রণ করেছে। কিন্তু ততোদিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে!

স্যু এরপর সকলের সামনে ফাঁস করে দেয় কিভাবে সে নিজে এবং Cosmopolitan Magazine এর অন্য লেখকরা নারীদের অবলীলায় এসব গাঁজাখুরি মিথ্যা বলে আসছে৷ একদম যাকে বলে – নির্জলা মিথ্যা! তাদের উদ্দেশ্যই ছিল নারীদের বোকা বানিয়ে পরিবার, ঘর-সংসার এবং পুরুষের নিরাপত্তা বেষ্টনী থেকে বের করে এনে মিথ্যা স্বাধীনতার এক অশ্লীল ও অনিরাপদ দুনিয়ায় প্রবেশ করিয়ে দেয়া৷

অবশ্য সোজাসাপটা ভাষায় তো আর এসব বাণী প্রচার করা যায়না। মিথ্যা বলে, ভুলভাল মিশিয়ে প্রচার করতে হয়। যেমন, যদি বলা হতো:

“নারী, প্রথাগত সব বিশ্বাস ভেঙে বেরিয়ে এসো! পরিবারের রীতিনীতি সব ভেঙে দাও! পুরুষের বেষ্টনী ভেঙে দাও! লক্ষ্যহীনভাবে যেনতেন পুরুষের সাথে বিছানায় যাও! বিয়ে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা একদম। উচ্চশিক্ষার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দাও! চাকরি করে নিজের একটা পরিচয় দাঁড় করাও! তোমার জীবনে পুরুষের কোনো দরকার নেই!”

এভাবে সরাসরি বলে কাউকে কোনোদিনও বশ করা সম্ভব না৷ কেউ এসব কথা শুনে তা মেনে নিবে তাও আশা করা ঠিক না।

এই এজেন্ডা বা কুচক্র খুব সুক্ষ্মভাবে নারীদের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে হবে। এমনভাবে যাতে তারা এখানেই নিজেদের পরিচয়, পরিপূর্ণতা ও স্বাধীনতা খুঁজে পায়। ধাপে ধাপে এমনভাবে বিষয়গুলোকে সাজাতে হবে যেন নারীরা নিজেরাই মধুর নেশায় মত্ত ভ্রমরের মতো ফুলের খোঁজে তাদের পেছনে ছুটতে থাকে৷

এভাবে সুক্ষ্ম ফাঁদ পেতে আগানো তাদের জন্য খুব দরকারীও বটে। কারণ নাহলে তাদের ফাঁকা বুলি সহজেই ধরা খেয়ে যাবে। নারীদের সামনে তাদের এজেন্ডাকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন নারীরা মনে করে এটা ছাড়া তাদের আর অন্য কোনো পথ খোলা নেই। তারা নারীদের মধ্যে বিয়ে-সংসার ও পুরুষদের নিয়ে নানা ধরনের ভয় ও উদ্বেগের সৃষ্টি করে৷ ছড়াতে থাকে তাদের ভয় উদ্রেককারী বাণী:

“পুরুষ মাত্রই অত্যাচারী। তারা তোমাকে ঠকিয়ে বাচ্চাসহ রেখে চলে যাবে। অন্য নারীর হাত ধরে ভেগে যাবে। নারী, তুমি নিজেকে রক্ষা করতে শেখো। নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখো। নিজের রুজিরোজগারের ব্যবস্থা তো তোমাকেই করতে হবে। পুরুষদের কখনো বিশ্বাস করো না। পুরুষদের উপর নির্ভর করবেনা। বরং, আগেভাগেই চিন্তা করো ডিভোর্স হলে কিভাবে নিজেকে চালাবা।”

এসব বিষ তারা খুব সুক্ষ্ণভাবে নারীদের মাঝে ঢুকাতে থাকে আর ধীরে ধীরে নারীরাও একই সুরে তাল মিলাতে থাকে৷ এভাবে নারী নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারে! তারা ঘর সংসার ও পরিবার থেকে দূরে সরে আসে। দেখা যায়, তারা উচ্চশিক্ষা বা চাকরির জন্য একাই দূর-দূরান্তে, এমনকি বিদেশ-বিভুঁইয়ে পাড়ি জমাতে শুরু করে৷ জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী ট্যাবলেট খেয়ে যেনতেন পুরুষের সাথে বিছানায় চলে যাওয়াই হয়ে ওঠে তাদের জীবনের খুব স্বাভাবিক রীতি। চিন্তা নেই, গর্ভধারণ করলে গর্ভপাত তো সহজেই করে ফেলা যায়! এমন উদ্দাম, স্বাধীন, চোখ ধাঁধানো লাগামহীন জীবনে ঘর-সংসার ও সন্তানদের জায়গা আর কোথায়!

এভাবে নারীদের ভোগবাদী বানিয়ে ফেলা হয়। নারী হয়ে ওঠে পুঁজিবাদ ব্যবস্থার আরেক কর্মী, আরেক ভোক্তা।

নারীরা Cosmopolitan magazine পড়ে নিজেদের সেই আদলে গড়ে তুলতে শুরু করে৷

অথচ সেখানকারই লেখিকা স্যু এলেন ব্রাউডার লাখ লাখ নারীকে ধোঁকা দেয়ায় পরবর্তীতে অনুতপ্ত হন।

তিনি এরপর কঠোরভাবে ক্যাথলিক ধর্মের দিক্ষা নিতে থাকেন৷ তার অনুতাপের অংশ হিসেবে তিনি Subverted বইটি লিখেন৷

লেখিকার বই Subverted সম্পর্কে কিছু নারীর মতামত দেখে নেয়া যাক:

“এই শতাব্দির প্রায় অর্ধেকের বেশি দেখার ভাগ্য হয়েছে আমার৷ এই মিথ্যাগুলো আমার চোখের সামনে ছড়িয়ে যেতে দেখেছি৷ এগুলোকে এতটাই চমকপ্রদ লাগতো যে সত্য মিথ্যা নিরুপণের মতো অবস্থা থাকতো না। আমি ব্রাউডারের প্রতি কৃতজ্ঞ এই ভয়ংকর মিথ্যা ফাঁস করে দেয়ার জন্য৷ মিথ্যার এই পুরো সাম্রাজ্য ভেঙে যাক আমি তাই চাই। এই মিথ্যা, এই ছলনা প্রতিটা আমেরিকান ঘর ধ্বংসের জন্য দায়ী৷ যেই সভ্যতা মায়ের পেটের সন্তানকে মেরে ফেলতে পারে, মা জাতিকে নিজেদের স্বার্থে ঘর থেকে বের করে আনে – সেই সভ্যতার পতন অবশ্যম্ভাবী।”

“নারী স্বাধীনতার আন্দোলনের নামে জঘন্যতম কুচক্রের সাথে জড়িত সকল ধুর্ত, নাস্তিবাদী, স্বার্থান্বেষী মানুষের মুখোশ খুলে দিয়েছে এই বইটি৷ তাদের কুচক্রের ফলে সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে ডিভোর্সের হার, প্রেমহীন যৌনতা, দারিদ্রের নারীকরণ, ভয় ও ক্ষোভ। এমনকি এখন নারী পুরুষ নিজেদের পরিচয় নিয়েও গভীরভাবে সন্দিহান।”

“ম্যাগাজিনের নারীদের আদলে নিজেদের গড়ে তোলা আর আকাশে প্রাসাদ বানানো একই কথা৷ সব মিথ্যার জাল।”

“এই বই থেকে আমরা বুঝতে পারি যে স্যু একসময় সাবলীলভাবে এমন মানুষদের সাথে কাজ করেছে যাদের উদ্দেশ্যেই স্বামী, সন্তানদের থেকে নারীকে আলাদা করে দেয়া৷ এর জন্য যদি নির্লজ্জভাবে তাদের মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়, বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান বদলে ফেলতে হয়, তাও তারা করবে। এর জন্য জঘন্যতম কাজটা করতেও তাদের বাধবে না৷ স্যু পরবর্তীতে সেখান থেকে সরে আসায় আমরা সত্যটা জানতে পারি।”

এগুলোই হলো আমাদের আধুনিক যুগের পর্দার আড়ালের কাহিনী। বিগত বছরগুলোতে মুসলিমরা এমন অনেক দেশে পাড়ি জমিয়েছে যেসব দেশের সমাজের চালচিত্র এমন। আমরা মুসলিমরা আমাদের সন্তানদের সেখানকার এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী স্কুলে পড়তে দেই। আমাদের সন্তানেরা তাদেরই নাটক সিনেমা দেখে বড় হতে থাকে। আমাদের মেয়েরা Cosmopolitan এর মত নানান মগজধোলাইকারী ম্যাগাজিন গিলতে থাকে।

এসব পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমরা মুসলিম দেশগুলোতে আমদানি করছি। সাথে আছে আমাদের বিদেশের নামিদামী ডিগ্রী আর উচ্চশিক্ষার প্রতি ঘোরলাগা ভক্তি। আরো আছে পারিবারিক মান মর্যাদা নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি আর নিজেদের আত্নপরিচয় নিয়ে তীব্র হীনমন্যতা৷ আমাদের মধ্যে আছে পশ্চিমা ঘূণে ধরা আদর্শকে ধারণ করার তীব্র বাসনা। যেন তা করতে পারলে আমাদের সম্মান বৃদ্ধি পাবে, আমরা যেন ধন্য হয়ে যাবো!

আর তারপর আমাদের মেয়েরা বড় হয়ে এমন মানুষে পরিণত হয় যারা শুধুই নিশ্চিত করতে চায় নিজেদের “স্বাধীনতা” এবং “চাকরি”। কারণ তাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয় হরেক রকম প্রশ্ন:

“তুমি তো জানো না কখন কি ঘটে যায়!”

“যদি তোমার স্বামী একটা খারাপ মানুষ হয়?”

”যদি তোমার ডিভোর্স হয়ে যায়?”

“যদি তোমার স্বামী তোমাকে ঠকায়?”

”যদি তোমার স্বামী মারা যায়?”

এসমস্ত “যদি” র যাঁতাকলে আমাদের নারীদের পিষ্ট করে সমাজ।

এইসব ভয়, দুশ্চিন্তা আর ক্ষোভের উৎস হলো অত্যন্ত সূক্ষ্ম কিন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এজেন্ডাসমূহ যেগুলোর কথা আমি শুরু থেকে বলে আসছি। ধাপে ধাপে এমনভাবে এগুলোকে ফাঁদা হয়েছে যে আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তা ঢুকে গিয়েছে।

বেশিরভাগ মুসলিম নারীই সমাজের এসব নোংরা সংস্কৃতির সাথে জড়িত না। তবে হ্যাঁ কম সংখ্যক হলেও কিছু মুসলিম নারী আছে যাদের একাধিক পুরুষের সাথে শুতে একটুও বাধে না এবং যারা অবলীলায় এবরশন করিয়ে ফেলে। এভাবে পশ্চিমা বিশ্বের অনুসরণ করলে সাপের গর্তে আমাদের পা ঢুকবেই৷ কোন ক্ষেত্রগুলোতে আমরা তাদের অনুসরণ করছি একটু মোটাদাগে বলি:

পুরুষের প্রতি অসন্তোষ

বিয়ে নিয়ে ভয় ও সন্দেহ

বিয়ে নিয়ে মনের মধ্যে সবচেয়ে মন্দ ধারণা রাখা

চাকরি ও উচ্চশিক্ষার জন্য দেরিতে বিয়ে করা

মাতৃত্বের অবমূল্যায়ন

স্ত্রী হবার সম্মানকে অবমূল্যায়ন

স্বামীর প্রতি অনাস্থা এবং

সমাজে ডিভোর্সের হার বৃদ্ধি

আসলে আমরা আমাদের ভয়কে পুঁজি করে চলেছি। এই ভয় আমাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে স্ত্রী এবং মায়ের ভূমিকা থেকে সরে এসে আমরা ভোগবাদী ব্যবস্থার দাস হয়ে যাই।

আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা গড়ে উঠছে মিথ্যাকে কেন্দ্র করে। অথচ ইসলাম একমাত্র প্রকৃত সত্য

আরো পড়ুন