
পর্দা কি আপনার স্বাধীনতা হরণ করে?
এমন কোনো রিভার্টেড বা নও- মুসলিমা নারীকে কিন্তু কখনো দেখাতে পারবেন না, যে হিজাব এর বিধান মানছে না।
কারণ, তিনি ইসলামের বিধান- ফরজিয়্যাত পড়াশোনা করে, মেনেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি এটা জেনেবুঝেই ইসলাম অ্যাকসেপ্ট করেছেন যে, ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে পর্দা করতেও হবে, it’s Mandatory!
অথচ, আমরা, যারা বাপ-দাদার উত্তরাধিকার সূত্রে ইসলাম পেয়েছি, তারা সবসময় শঙ্কিত থাকি,
“এই বুঝি কেউ হিজাব চাপিয়ে দিলো! পর্দার বিধান চাপিয়ে দিলো!”
এই ‘শঙ্কা’ এক প্রকার আস্পর্ধা।
“কেউ হিজাব চাপিয়ে দিবে” – এই ভয়ের অর্থ মূলত
পোশাকের স্বাধীনতা হরণের ভয়।
আর পোশাকের স্বাধীনতা হরণের ভয় মনে উদ্ভূত হওয়ার অর্থ হলো ইন্ডিরেক্টলি
“আল্লাহর বিধান আমাদের পোশাকের স্বাধীনতা হরণ করছে” – এই স্বীকারোক্তি দেয়া ( নাউজুবিল্লাহ)!
এই শঙ্কা মনে আসলে তৎক্ষণাত তওবা করে নেয়া উচিত। এই শঙ্কাকে ডিফেন্ড করা মানেই,
“আল্লাহ হিজাবের বিধান নাজিল করে আপনার পোশাকের স্বাধীনতা হরণ করেছেন”- এই বাক্যটাকেই ডিফেন্ড করা (নাউজুবিল্লাহ)।
কুরআনে যখন পর্দার বিধান নাযিল হলো (সূরা আন-নূর ও সূরা আহযাবে), আয়াত নাযিল হওয়া মাত্র মদীনার মহিলারা নিজেদের কাপড় ছিঁড়ে ওড়না (খিমার/জিলবাব) তৈরি করে নিলেন।
আয়িশা (রা.) বলেন:
❝যখন আল্লাহর এই আয়াত নাযিল হলো: “তারা যেন তাদের খিমার (ওড়না) দিয়ে বুক ঢেকে রাখে” (সূরা আন-নূর: ৩১), তখন আনসার নারীরা নিজেদের চাদর ছিঁড়ে বুক ঢেকে নিলেন।❞
মানিয়ে নিতে সময় লাগতে পারে, কিন্তু এটা নিজস্ব ব্যর্থতা। এটা পর্দার বিধানের দোষ না। এইটা আল্লাহর বিধানের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারার ব্যর্থতা – যেটাকে কোনোভাবেই ডিফেন্ড করতে পারবেন না আপনি – As a Muslim !
অন্তত হিজাব না করতে পারলে আমরা যেন নিজেদেরকে গুনাহগার ভাবি কারণ এতে আমরা আল্লাহর হুকুমের অবাধ্য হচ্ছি। হিজাব না করাটাকেই যেন জাস্টিফাই করতে শুরু না করি।


