
সন্তানকে ইসলামী পথে গড়তে চাইলে, প্রথমে গড়ুন তার পরিবেশ
ইসলামিক প্যারেন্টিং এর ক্ষেত্রে সবচে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা, তা হলো ‘ এনভায়রনমেন্ট ‘। সন্তানকে আপনি ছোটোবেলা থেকে যত বেশি নন-ইসলামিক ইনভায়রনমেন্ট এক্সপোজারে রাখবেন, তত বেশি তার ভেতরটা ইসলামিক রুলস রেগুলেশনের রেজিজট্যান্স হতে থাকবে। পরে যখন তার মধ্যে রিলিজিয়াস মেন্টালিটি আর মোরালিটির ঘাটতি দেখবেন, তখন বুঝে নিতে হবে, আসলে দায়ী আপনিই!
উদাহরণস্বরূপ, ছোটোবেলা থেকে যে সন্তান টা লক্ষ্য করে আসছে,তার ফ্যামিলি তে ‘ফ্রি-মিক্সিং’ একটা কমন জিনিস, তাঁর বাবা মা আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে মাহরাম /নন-মাহরাম মেইনটেইন করছে না,সেই সন্তান কে যদি আপনি চান একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর অপোজিট জেন্ডারের সাথে বাউন্ডারি মেইনটেইন করে বিহেভ করুক – তার মানে হচ্ছে তাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা ফাউন্ডেশন দিয়ে অন্যরকম একটা রেজাল্ট আশা করা- যেটা বোকামী ছাড়া আর কিছু নয়।
তাকে জীবনের প্রতিটা ধাপে ইসলামিক রুলস রেগুলেশন না শিখিয়ে কেবল ”বাবা মায়ের অধিকার আর সম্মানে” র আয়াতগুলো শুনিয়ে সম্মান আশা করা নিছক বোকামী! এর মানে দাঁড়ায়, আপনি কুরআন কে কেবল নিজের বেনিফিটের জন্য ইউজ করছেন, সন্তানের মোরালিটি ডেভেলপ করার জন্য না।
যে সন্তান ছোটোবেলা থেকে ফ্যামিলিতে বাবা মাকে শুধুমাত্র রমজান মাস এলে কুরআন পড়তে দেখে, কুরআন এর সাথে যে তার একটা ডে টু ডে ব্যাসিস ক্যাজুয়াল রিলেশানশিপ থাকতে পারে সেটা সে কখনোই রিয়েলাইজ করতে পারবেনা।
সন্তানের সামনে কোথাও গান বেজে উঠলে আপনি ভ্রুক্ষেপ করেন না, বারণ করেন না, ছোটোবেলা থেকে তাকে গানের স্কুল নাচের স্কুল এ দিয়ে রেখেছেন, একটা নির্দিষ্ট এইজে যাওয়ার পর তার থেকে আপনি ইসলামিক আউটপুট আশা করতে পারেন না। চাইল্ডহুড বা জিবনের কোর টাইমে যেই ইনপুট দিবেন,পরে সেখান থেকে সরে এসে ভিন্ন আউটপুট আপনি আশা করতে পারবেন না।
সন্তান থেকে যে আউটপুট আপনি পেতে চান,তার ফাউন্ডেশন আপনাকেই তৈরি করে দিতে হবে, এনভায়রনমেন্ট আপনাকে কন্ট্রোলে রাখতে হবে। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সেইসাথে আল্লাহর সাহায্য আর দু’আ কামনা করে যেতে হবে; নয়ত এই যুগের চ্যালেঞ্জিং এনভায়রনমেন্টে সন্তান এর চরিত্র কে শেইপ করা কখনোই সহজ হবে না।


